Thursday, January 1, 2009

এক কাহন

ঘটনাটা ইতিহাসে ছিলো
অনেক প্রাচীনতায় জড়ানো মানসিক অবস্থার সবিশেষ
এবং ইতিহাস শব্দের শক্তিতে আমিও এই ঘটনার আলিঙ্গন করলাম
বুজতে বাকি ছিলনা যে তীরে পৌছেছি কিন্তু ঘাট খুঁজে পেলাম না
ইতিহাস হলে হয়তো লন্ঠনের আলো খোঁজার চেষ্টা করতাম
কিন্তু এই কালে এসে দেখি তীরের কোথায় কোন আলোক বিন্দু নেই
না লন্ঠনের না ফিলিপ্স বাতির ঝলকানি
অবশ্য কেঊ যে ঘাটে আলো জ্বালবে কিংবা জ্বালবেনা
এটা আগে থেকে অনুমান করা বড় শক্ত – কারণ
এই পটে রয়েছে ইলেকট্রিসিটির অভাব, লোডসেডিঙ্গের প্রোকপ
তাই কেউ চাইলেই সহসা আলো জ্বালানো সম্ভব ছিলো না
এই ক্ষীণ আশা নিয়ে আমি তীরেই অপেক্ষারত ছিলাম
আলো জ্বলবে, আমি ঘাট চিনবো, পাড়ে উঠবো

কিন্তু আলো আর জ্বলেনি
আমার প্রতীক্ষার দন্ডে ঘুণ পোকা জন্মে
আমার ভয় হতে শুরু করে, সকাল যে হয়ে আসছিলো
জমে যাবে হাট-বাজার এই তীরে, যেতে পারবো কি কাঙ্খিত নীড়ে ?
তখন যে আমার একটি গন্তব্য অসীমে রূপ নিবে – হায়
কেউ হয়তো সত্যি ছিলনা, আমায় বরণ করতে, এই আধাঁরে
কিংবা থেকেও অন্ধকারে আমায় চিন্তে পারেনি

অগ্যতা আমি আবার যাত্রা শুরু করলাম
নতুন কোন তীরে আশায় নয়
তীরে এসে পাড়ে না উঠবার অনুভূতি ততটা সুবিধের নয়
মহাকালের ব্যঞ্জনায়, সেটা কি আমিও বুঝিনি ?
তাই বরং চলতে থাকি, ভাসতে থাকি, নিজের নৌকায়
স্পন্দিত হোক আমার গতকাল
গতিময় পালে দোল খাক আজকের সময়
আমি আমার গত সময়েই বেচেঁ থাকবো
তুমি না হয় ভবিষ্যতেই হারালে...।।

কপিরাইট শঙ্খ’০৮

নিস্তব্ধতা

অকালের টিপ টিপ বৃষ্টির তালে তালে
সৃষ্টির ওম ধ্বনি বিস্তারের আগেই
আমাতে তোমার অভাব বিস্তৃত হলে
অসীমে নিমজ্জমান এক সুতোয় দাড়াঁয়ে
চাপা চাপা রঙে যে ইন্দ্রধনু পাখনা মেলে
তোমার আয়েসি নিস্তব্ধতায় আর বিলাসী উদাসীনতায়
ক্ষণে ক্ষণে সেই পাখনার পালক খসে পরে...।।

কপিরাইট শঙ্খ’০৮

পাউরুটি সংক্রান্ত জটিলতা

পাউরুটির কোমল অংশ ঘিরে যে লালচে কঠিন আবরন থাকে
তুমি তাকে কেটে ফেলে দাও – কারন তুমি শুধু কোমলতাটুকুই চাও
যে কিনা ঘিরে থাকতে চায়
তাকেই ছিড়েঁ - কেটে সামনে এগুতে চাও ?
তুমি জানালে,”এটাই আমি – আই ডোন্ট লাইক বাউন্ডারিস্”
আমি হাসলাম,ভাবলাম,খালি বাউন্ডারিটাই দেখলে
আর যে কি না আগুনে পুড়ে পুড়ে তোমার কোমলতা বাচাঁয়
সেটা শিখলেনা...বুজলেও না।।

কপিরাইট শংখ’০৮