Sunday, March 22, 2009

এক আকাশের নিচে থাকি

আমার আকাশে বৃষ্টির ছায়াতলে তুমি আসবে কিনা
পঙ্কিল দৃশ্যপট তখনো সে ভাবনা যোগায়নি
তবু আমার ভাবনার সরল দোলক
কখন যেন সরলতার গন্ডিসীমা পেরিয়ে
তোমার গরল সীমানায় চলে গেল-যেন ঘটনাটা
ঠিক ছুঁতে পারলাম না
বিজ্ঞানের তত্ত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
আমার দোলক যেন তোমার প্রান্তে আটকে গেল-সাম্যাবস্থাও
আসতে চায়না।। আমার ভাবনাগুলোর অংকুরোদ্গমে
যে বৃত্ত তৈরী হয়, তার জ্যামিতিক কম্পাসের ভুমিতে সূচালো
তোমার চুলের অগ্রভাগ আর মাথায় ভর করে তোমার চোখ
বৃত্তের সুষম সৃষ্টিতে তার কড়া নজর-খুব বাজে কথা
তুমি যখন শিখা হয়ে জ্বলো আমি সর্বদাই তার ছায়ার বৃত্তে
অবস্থান করি।। কি করা যায়? উত্তর নাই
এখন উত্তর খুঁজিও না
যতবার পালতে চেয়েছি কিছুই হয়নি-এটা পরিক্ষীত
কালো পিচে উত্তপ্ত পায়ের গোড়ালি চলছিলো এলোপাথাড়ি
তবুও আমার দোলক তোমার প্রান্তেই থেকে যায়
যা কিনা তুমি চেয়ে নাওনি আবার তোমাকে
ঘটা করে দেওয়াও হয়নি-তাই তোমারও হয়তো
কিছু করার থাকেনা কারন পৃথিবীর এই দিকটায়
সূর্য এখনো পুবেই উঠে- সুয্যিজলে চক্ষুস্নান শেষে
অমাবশ্যায় যাপিত জীবন দৃঢ়চিত্তে বলেনা
আলোর প্রতীক্ষায় আছি কিন্তু অস্বীকারও করে না।।
এ যেন কানামাছি খেলা কেউ কাউকে ধরতে পারে না
সুযোগ যে আসে না তা নয় পাকড়ালেইতো সে হবে
নতুন চোর- খেলাতো শেষ হবে না
তার চেয়ে আমিই বরং হাতড়ে খুঁজি
চোখ বাধাঁ রেখে আলোকে-তাতেও কি কম আনন্দ
ঐ আলোর চোখ বেয়ে বৃষ্টি পড়েছিলো
তা আমি ছাড়া দূরের আর কয়জন জানে
তোমার গ্রহনকালে আমিতো অন্ধকার শুষে নেবার চেষ্টা করেছি
যখন তার অধিকার তুমি আমাকে দেওনি
তবু অনধিকারচর্চাও যে করিনি তাতো তুমি জানো।।
শুকনো পাতার মর্মর শব্দ হৃদয় ভাঙ্গার স্তবতায়
রূপায়িত হলে খবরের ভাষ্য আসে সবই দূর্ঘটনা
আমি তুমি আলো অন্ধকার সবকিছু
তাই এখন বসে থাকি শুয়ে থাকি শুধু দাড়াঁতে চাইনা
মহাকাল কালে কালে জন্ম দেবে আলো অন্ধকার শতদল
হয়তো নতুন কোন দূর্ঘটনায় তুমি জেনে যাবে
আমার মনের তল
আমার এখানে এখনো বৃষ্টি পড়ছে-তোমার কি খবর?
আকাশতো একটাই এ কথাতো মানো
ছায়া দেখে ভেবেছিলাম আলোর খুব কাছাকাছি চলে এসেছি
হয়তো সত্যি তাই তবু যোজন যোজন দূর-ছিলো বাকি
সাত সমুদ্দর তেরো নদী...।।


পুনে
২৮১১২০০৮

হ্যাং

পান থেকে চুনও খসাইনি
তবু আমি কচু পাতায় জল
মেয়ে তুমিতো কম্পিউটার নও
তবে কেন বারে বারে হ্যাং করো
তাহলে যে আমিও ঝুলে যাই...।।

Friday, March 20, 2009

ওয়েটিংরুম...

একটা ট্রেন আসার কথা ছিলো...এই বাজারে অনেক কথাই থাকে...এবং কিছু কথা থেকেই যায়...সুবিরনন্দীর গানও তাই বলে
তাই যখন দিন যায় তখন আমি ট্রেন আসার অপেক্ষা করি..

অপেক্ষাতো অপেক্ষাই...মধুমাখা রস নয় অনন্তকাল পর্যন্ত যার ভ্যালেডিটি...কিন্তু তাই বলে খা খা আকাশের নিচে অনন্তকাল...!
তার চেয়ে একটা প্লাটফর্ম বানিয়ে নিলাম...তার বুকে বসালাম একটা ওয়েটিং রুম...তার ভিতর আমি...কান পেতে রই...শব্দ খুঁজি...কারন একটা ট্রেন আসার কথা ছিল...

কোন ট্রেন ? কার ট্রেন ? আসবে আমার প্লাটফর্মে? এক্সপ্রেস নাকি লোকাল? গভর্মেন্ট নাকি প্রাইভেট? কি আসবে ট্রেনে? মাল বোঝাই নাকি মন বোঝাই...? আমিতো আগেই জানিয়ে দিয়েছি যে ট্রেন একবার আমার প্লাটফর্মে আসবে তার ইঞ্জিন আমি উড়িয়ে দেবো...যাতে আর চলতে না পারে...আমাতেই হবে তার শেষ গন্তব্য...এই ভয়ে কি তবে ট্রেন আসবে না...!

আমি কি কিছুই জানি না...নাকি ভুলভাল জেনে ওয়েটিং রুম বানিয়ে বসে আছি...ভাবছি এই বুঝি ট্রেন এসে পরলো...আমার সকাল বিকাল...রাত নিলো ওয়েটিংরুম...আমি জেনো সময়ের বস্তা মাথায় করে বসে আছি...আর সময় আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে আর বলছে মজা লও মিয়া...মজা খুজলেই নাকি মজা পাওয়া যায়......কিন্ত আর কত মজা লওয়া যায়...?

বোধহয় ট্রেন আসবে না...এত লেটতো হবার কথা না...তাহলে কি চলে গেল...? হয়তো তাই হবে...ট্রেনটা আমার স্টেশনে আসেই নি...কারণ......?

কারণ অনেক কিছুই হতে পারে...বোধহয় অন্য স্টেশনে থেমে গেছে যেখানে ইঞ্জিন উড়ানোর ভয় ছিলো না ...কিংবা পথে কোন বগি উলটে গেছে আর চলতে পারবে না...অথবা একেবারেই ব্রেক ফেল করেছে...যে কোথাও থামতে পারবে না...আবার এও সম্ভব পথিমধ্যে কোন ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে...তাই অন্য পথে অনেকটা ঘুরে সে আমার দিকেই আসছে......

জীবনতো অনন্ত সম্ভাবনা...তারতো কোন মৃত্যু নেই......

তবুও আমার অনেক কিছু মনে পরে...মনে পরে সিনেমা প্যারাদিসো...মনে পরে এক হতভাগা ছেলের কথা যে কি না ভালবাসলো এক রাজকন্যা কে ...কিন্তু রাজকন্যা কি তাকে চেনে...? তবুও ছেলেটি আশাহত হয় না...মেয়েটিকে জানায়...আজ থেকে আগামী একশ দিবা-রাত্তি আমি তোমার বাড়ির সামনে বসে থাকব...এর মাঝে যদি তুমি তোমার ঘরের সদর দরজায় দাড়াঁও কিংবা সামনের এই জানালাটাই যদি খুলে দাও ...তাহলে আমি ভেবে বসবো...আমি জেনে নেবো...আমি তোমার মনের ঘরে জায়গা করে নিচ্ছি...আর যদি তোমার দেখা নাও মেলে ...তাহলেও আমার অপেক্ষা পূর্ণতা পাবে......

এরপর তুমি জানতে চাইলে তারপর...

অতঃপর শুরু হয় অপেক্ষার পালা...যেন সময়ের সাথে এক স্নায়ু যুদ্ধের অবতারনা...কে জিতে কে হারে...ছেলেটি কিন্তু অপেক্ষা করেই যায়...এক...দুই...তিন...করে দিন যায়...কিন্তু ওই যে বলেছিলামনা কথা থেকে যায়...তাই...বৃষ্টির জল...শৈত্যপ্রবাহ...আর রোদের অনলও তার মনে দাবানল জ্বালাতে পারে না...সে শান্ত...সৌম্য...ধ্যান মগ্ন এক রাজপুত্র...অপেক্ষায় অপেক্ষায় আটান্নব্বই দিন,আটন্নব্বই রাত...ও নিরান্নব্বই দিন কাটিয়ে দিলো...

শুনে তুমিও অধৈর্য্যপনা শুরু করলে...জানতে চাইলে এরপর কি হয়?...নিরান্নবই কেন...একশত নয় কেনো...?

সেইতো কথা...আমার এই শান্ত, ধ্যান মগ্ন এক রাজপুত্রটি এতো কষ্টের পর কেন নিরান্নব্বই রাতে পালালো...কেনো আগেই পালালো না... কিংবা কেন আরেকটু অপেক্ষা করলো না...?

তুমি বললে আজবতো...?

আমি বললাম অনেক প্রাচীন এই গল্পটি...আর তার থেকেও প্রাচীন এই প্রশ্নটি কেন...সে নিরান্নব্বই রাতে পালিয়েছিলো...?
তখন এই বলে আমি শেষ করেছিলাম...যেদিন এর উত্তর জেনে যাবে...বুঝে নিও সেদিন থেকে তুমি ভালবাসতে শিখছো...

কিন্তু আমার প্লাটফর্ম...আমার স্টেশন...আমার ওয়েটিংরুম কি সেই ক্ষণ পর্যন্ত সিগন্যাল দিবে...সবুজ বাতির সিগন্যাল.......................................।।একটা ট্রেন আসার কথা ছিলো...এই বাজারে অনেক কথাই থাকে...এবং কিছু কথা থেকেই যায়...সুবিরনন্দীর গানও তাই বলে
তাই যখন দিন যায় তখন আমি ট্রেন আসার অপেক্ষা করি..

অপেক্ষাতো অপেক্ষাই...মধুমাখা রস নয় অনন্তকাল পর্যন্ত যার ভ্যালেডিটি...কিন্তু তাই বলে খা খা আকাশের নিচে অনন্তকাল...!
তার চেয়ে একটা প্লাটফর্ম বানিয়ে নিলাম...তার বুকে বসালাম একটা ওয়েটিং রুম...তার ভিতর আমি...কান পেতে রই...শব্দ খুঁজি...কারন একটা ট্রেন আসার কথা ছিল...

কোন ট্রেন ? কার ট্রেন ? আসবে আমার প্লাটফর্মে? এক্সপ্রেস নাকি লোকাল? গভর্মেন্ট নাকি প্রাইভেট? কি আসবে ট্রেনে? মাল বোঝাই নাকি মন বোঝাই...? আমিতো আগেই জানিয়ে দিয়েছি যে ট্রেন একবার আমার প্লাটফর্মে আসবে তার ইঞ্জিন আমি উড়িয়ে দেবো...যাতে আর চলতে না পারে...আমাতেই হবে তার শেষ গন্তব্য...এই ভয়ে কি তবে ট্রেন আসবে না...!

আমি কি কিছুই জানি না...নাকি ভুলভাল জেনে ওয়েটিং রুম বানিয়ে বসে আছি...ভাবছি এই বুঝি ট্রেন এসে পরলো...আমার সকাল বিকাল...রাত নিলো ওয়েটিংরুম...আমি জেনো সময়ের বস্তা মাথায় করে বসে আছি...আর সময় আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে আর বলছে মজা লও মিয়া...মজা খুজলেই নাকি মজা পাওয়া যায়......কিন্ত আর কত মজা লওয়া যায়...?

বোধহয় ট্রেন আসবে না...এত লেটতো হবার কথা না...তাহলে কি চলে গেল...? হয়তো তাই হবে...ট্রেনটা আমার স্টেশনে আসেই নি...কারণ......?

কারণ অনেক কিছুই হতে পারে...বোধহয় অন্য স্টেশনে থেমে গেছে যেখানে ইঞ্জিন উড়ানোর ভয় ছিলো না ...কিংবা পথে কোন বগি উলটে গেছে আর চলতে পারবে না...অথবা একেবারেই ব্রেক ফেল করেছে...যে কোথাও থামতে পারবে না...আবার এও সম্ভব পথিমধ্যে কোন ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে...তাই অন্য পথে অনেকটা ঘুরে সে আমার দিকেই আসছে......

জীবনতো অনন্ত সম্ভাবনা...তারতো কোন মৃত্যু নেই......

তবুও আমার অনেক কিছু মনে পরে...মনে পরে সিনেমা প্যারাদিসো...মনে পরে এক হতভাগা ছেলের কথা যে কি না ভালবাসলো এক রাজকন্যা কে ...কিন্তু রাজকন্যা কি তাকে চেনে...? তবুও ছেলেটি আশাহত হয় না...মেয়েটিকে জানায়...আজ থেকে আগামী একশ দিবা-রাত্তি আমি তোমার বাড়ির সামনে বসে থাকব...এর মাঝে যদি তুমি তোমার ঘরের সদর দরজায় দাড়াঁও কিংবা সামনের এই জানালাটাই যদি খুলে দাও ...তাহলে আমি ভেবে বসবো...আমি জেনে নেবো...আমি তোমার মনের ঘরে জায়গা করে নিচ্ছি...আর যদি তোমার দেখা নাও মেলে ...তাহলেও আমার অপেক্ষা পূর্ণতা পাবে......

এরপর তুমি জানতে চাইলে তারপর...

অতঃপর শুরু হয় অপেক্ষার পালা...যেন সময়ের সাথে এক স্নায়ু যুদ্ধের অবতারনা...কে জিতে কে হারে...ছেলেটি কিন্তু অপেক্ষা করেই যায়...এক...দুই...তিন...করে দিন যায়...কিন্তু ওই যে বলেছিলাম না কথা থেকে যায়...তাই...বৃষ্টির জল...শৈত্যপ্রবাহ...আর রোদের অনলও তার মনে দাবানল জ্বালাতে পারে না...সে শান্ত...সৌম্য...ধ্যান মগ্ন এক রাজপুত্র...অপেক্ষায় অপেক্ষায় আটান্নব্বই দিন,আটন্নব্বই রাত...ও নিরান্নব্বই দিন কাটিয়ে দিলো...

শুনে তুমিও অধৈর্য্যপনা শুরু করলে...জানতে চাইলে এরপর কি হয়?...নিরান্নবই কেন...একশত নয় কেনো...?

সেইতো কথা...আমার এই শান্ত, ধ্যান মগ্ন এক রাজপুত্রটি এতো কষ্টের পর কেন নিরান্নব্বই রাতে পালালো...কেনো আগেই পালালো না... কিংবা কেন আরেকটু অপেক্ষা করলো না...?

তুমি বললে আজবতো...?

আমি বললাম অনেক প্রাচীন এই গল্পটি...আর তার থেকেও প্রাচীন এই প্রশ্নটি কেন...সে নিরান্নব্বই রাতে পালিয়েছিলো...?
তখন এই বলে আমি শেষ করেছিলাম...যেদিন এর উত্তর জেনে যাবে...বুঝে নিও সেদিন থেকে তুমি ভালবাসতে শিখছো...

কিন্তু আমার প্লাটফর্ম...আমার স্টেশন...আমার ওয়েটিংরুম কি সেই ক্ষণ পর্যন্ত সিগন্যাল দিবে...সবুজ বাতির সিগন্যাল.......................................।।

Wednesday, March 18, 2009

কেননা আর তুমি তাই শুষ্ক ঝরাপাতা কিংবা কোন প্রেমপত্র

আমাদের তখন ব্যস্ত সময়
সময় পেরোই সময়ের খোঁজে
তখন সমসাময়িক এক অখন্ডনীয় সত্যে
আমরা একত্র হই- যদিও
ঘটনাটা এমন হবার কথা ছিলনা কেননা
পরস্পর ভিনগ্রহের আগুন্তক আমরা
আদৌ কেউ কি আগুন্তক ছিলাম?
মহাকাল নিশ্চয়ই সে খবর রেখেছে
রহস্যের পর্দা সে খুলবে
রমন ক্রিয়ার মত ধীরে কিন্তু স্থিতিশীল
যদি রাখি অপেক্ষার প্রহর
কি ভাসাবে সময়ের নহর
বর্তমানই জীবন বাঁচায়
তুমি কি বলো?
একদা এক বাঘের গলায় হাড় ফুটলো
পারমানবিক বোমা যা কিনা মানবিকতাকে পার করে
লোভী বাঘ্রের দাঁতের নিচে আমি অসহায়
তুমি বাঘিনীর দাঁত নাকি হরিণের হাড়?
তোমার খবর তুমি জানাও
আমার খবর শুরু থেকেই ছিল হেডলাইনে
অতীতকে সত্য রাখবো তবু ভবিষ্যতকে বাচাঁতে চাই
তাই তোমার অতীত আমি ভুলি- আর তুমি
পরক্ষনেই তোমার অনামিকায়
সামনের দুর্গমতা ইংগিত কর
যেমন জানা আছে আমি আকঁড়ে ধরি
তেমনি জানা থাকে তুমি বদলাও রঙ্গে রঙ্গে
তোমার প্রতি রঙ অন্য রঙ টানে
তারা পরস্পর মিশতে চায়
তবু কে তোমায় পায়
জ়ীবনতো আর রংধনু নয়
তুমি কি তা মানো?
তোমার চোখের রঙ্গে চুলের সংগে
আমার মহাকাল যুক্ত হয়েছিল- তাই
আমরা এক পৃথিবীর বাসিন্দা হই
তবু জানা থাকুক
আমি দূরেই থাকি- এবং
তোমার বহুরুপী ব্যঞ্জনা তেমনি কাছে টানে
যারা গিয়েছে তারা জানে
তুমি আর কি এমনি স্বভাব
ছুটছে তোমার ট্রেন পাশে যন্ত্রনার নাদ
"ভালবাসাকে ভালবাসা হতে না দেওয়া
মানুষের সবচেয়ে বড় অপরাধ" ।।

আজাদ হিন্দ সুপার ফাস্ট ১৭৭২০০৮