Thursday, April 23, 2009

মুঠোফোনিক বার্তা

>গত দিবসের অপূর্ণতায় করে ভর _প্লাজমিক মনে
জাগে নব কাহনের চর_তাতে ধুম লাগুক তোর হৃদকমলে_
অভিমানের কান্নাগুলো মুক্তিপাক আনন্দের কোলে_শুভ নববর্ষ১৪১৫।।










এক মহৎ পরিকল্পনা নেওয়া হয় জার কেন্দ্রে ছিলো বসুন্ধরা
ভাবতো সেদিন যদি তুমি না করতে ?
আমি ভাবতে পারিনা আমার ভাবনার ঘুড়ি ওখানে অক্সিজেন পায়না
তুমি ভাবনি...তাই তুমি এলে পরিকল্পনা উর্বরতা পেলো......
তারপর অনেক সময় পর পরিকল্পপনার রূপ...এখন পৃথিবী যার অংকুরে ওম ধ্বণি বুঝি তুমিই করেছিলে
তুমি আছো তাই...তাই জীবনে জীবন জাগে
তুমি আছো তাই...ধূসর যাপন স্বপ্ন মাখে
আমি হাসি,আমি কাঁদি......আমি পড়ি,আমি শিখি...
আমি জ্বালাই...আমি পুড়াই...পুড়ে পুড়ে শুদ্ধ হই
আমি ক্ষণে ক্ষণে জন্মাই...প্রতিবার মানুষ হতে দাঁড়াই
আমি অনুভব করি...আমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকি
...শুধু তুমি ছিলে বলে।
নারী তোমার তরে নম্র শ্রদ্ধা অসীমে বিস্তৃত করি...।

নারী দিবসের শুভেচ্ছা'০৮

৮৩২০০৮
১:৩১:১৬এম



গ্রহানাবলে একটা ফিল্ম দেখাবে আজ সন্ধ্যা৬:৩০এ এনএফআই তে...যদি সম্ভব হয় ৬ টার দিকে এনএফয়াইএর গেটে এসো

০৮০৩২০০৮
১৭০২২৪

এতো পড়লে মাথা হেং হইয়া যাইবো... মাঝেমধ্যে একটু ঘুমাইয়া রিফ্রেস হইয়া নিও...

১১০৩২০০৮
০৪১৬২৯

তোমার বইটা হাতে পেলে আমার সুবিধা হতো...অনুশীলন করার সুযোগ পেতাম...সময় বেচেঁ যেত...কিন্তু আমি করবোই...

১১০৩২০০৮
০৪২৬২৩


আমি কেম্পে আছি এখন...তুমি কি খেয়েছো...না হলে আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসতে পারি

১১০৩২০০৮
১৪০১৩৮

একটা ইটালিয়ান ফিল্ম ‘পিনচ্চিও’ সাইলেন্ট,৫০ মিনিট...সাথে লাইভ মিউজিক বায়...এন্টিনিও যাম্ব্রিনি...শুরু হবে ৬:৩০ (এনএফয়াই)...সম্ভব হলে চলে আসো...নচেত্একটা ভাল প্রোগাম মিস করবে

১১০৩২০০৮
১৮১৮০৫


তোমার বাসার নিচে

১১০৩২০০৮
২০১৮১৩


এইটা খুব মজা লাগতেছে...সব গাণিতিক সমস্যার উত্তর মিলতেছে...সব রামের বদৌলতে...
১৩০৩২০০৮
০৩৪৩৫৮

আমি আসছি...

১৭০৩২০০৮
০১৫৭৫১


যখন জেগে উঠবা আমাকে একটা কল বা এসএমএস করো...মানে আমাকে জানাও যে তুমি ঠিক আছ...হাতে আর ব্যাথা নেই...আমি আশা করি থাকবেও না...

১৭০৩২০০৮
০৪৪৯৪২

তুমি কি ঘুম থেকে উঠেছো...তাহলে একটা মিসকল দাও...তোমার সাহায্য দরকার...

১৯০৩২০০৮
০৮৪৮৩৪


তুমি জানো? বৃষ্টি পড়ছে!...অনেক দিন পর গাছেরা গোসল করছে...পবিত্রতা...

২১০৩২০০৮
১৭৫৬৫০


রাংকো রংমে ডুবাকে মান্মে গুছাকে তানকো রাংগাও
রংছে রঙ্গকো ধোকে দিলকো ছুঁকে সপ্না সাজাও তুমহারা রঙ জিন্দেগিকি লিয়ে...তুমহারা জিন্দেগিকি রংকে লিয়ে হোনা মাংতাহে...শুভ হোলি...রাংগিন রাঙ্গা রিফ্রেস...

২১০৩২০০৮
২৩৫৬০৮


আজ থেকে ...শেষ পর্যন্ত...্ সব কিছুর জন্য শুভ কামনা...

২৬০৩২০০৮
০০০৫৪৩


কেমন ছিলো...? পরেরটা কখন?...
২৬০৩২০০৮
১৭৩০৪২


৫.৪৫ পিএম

১১৪২০০৮
০০১৭১৫

পৌঁছেছো... ঠ



<যা দিয়েছি



<বৃষ্টির কথা থাক
বিরহের কথা বলি
ঝরা বুকুলেই ভরে রাখি এই
প্রশস্ত অঞ্জলি...
বর্ষার কথা থাক
প্রেমের কবিতা পড়ি
চারদিকে এই জলধারা
তবু সৃষ্টির দ্বীপ গড়ি(মহাদেব সাহা)
5683 968
২৬০৬২০০৮
০০৩৬১৯


<এইটা একটা এমনি এমনি মঠোফোনিক বার্তা...
কোন কিছুই সে বলেনা...
একা একাই সে ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল হয়ে দেশের সীমানা
অতিক্রম করে...
১৮০৬২০০৮
০০৪২৩৩


<যখন নেই ভরসা...তখন
কে আনে বর্ষা...
তার জলে বর্ষানগরীতে বিমূর্ত বন্যা...
বর্ষায় না ভিজে তুমি হবে কি সে নগরীর জলকন্যা?
নাকি হতে চাও একামাত্র রাজকন্যা!
হায় আমার যে রেইন কোটও নেই...
১৫০৬২০০৮
০০৪৮৩৯




<
হ্যালো...কেমন আছো?
কবে আসবে?আমার কিছু টাকা আনতে
হবে...আচ্ছা আমাকে রাতে একটা কল
করতে দেও

২৯৮২০০৮
১৫৫৬৩০


<
সুপ্রাচীন_আশা
বক্ষ_অঙ্কুর
আফসোস_ফলাফল
দীর্ঘশ্বাস_সময়
ব্যঞ্জনা_বর্তমান
জন্মমাস
শুভ জন্মবার্ষিকী’০৮
সর্ব্দাদা এই হোক সবচেয়ে ভালো...

Friday, April 3, 2009

শশীতা

বসন্তকাল গত কিন্তু কাগজে কলমে এই কথা প্রমাণ করা যাবে না যেহেতু বর্ষপঞ্জিকায় বৈশাখ এখনো আসে নাই...। কি রকম যেন দিনগুলো, একটা গুমোট অস্থিরতা প্রকৃতিতে বিরাজমান বাতাসে জলের কণা ক্রমশই বাড়ন্ত আর তাতেই গেলো বসন্তে তৈরী হওয়া প্রেমিক মন রিক্ত হয় আর শরীর সিক্ত হয় লোনা জলে...। সুয্যিমামা এ সময় বড় বেহায়া হয়ে উঠে দিনে দিনে সকাল থেকেই যেন পোশাক খোলার প্রতিযোগীতায় নেমেছে সে...আরে বাবা তুই নিজে ন্যাংটো হবি হ' না তা না আমাদের ও ন্যাংটো করে ছাড়বে...কিন্তু আমারা কি আর এত বোকা আছি নাকি...সভ্য হয়েছিতো...তাই যতই খারাপ লাগুক বিশেষ সময় ছাড়া সহজে ন্যাংটো হই না...সুয্যিমামাতো অনেক দূরে থাকে তাকে লজ্জা দেবার জন্য কোন সভ্য মানুষ তার পাশে নেই...কিন্তু আমাদের আছে - ন্যাংটো হবার লজ্জা। তবুও অন্যকে ন্যাংটো করতে আমাদের খারাপ লাগে না...। সুয্যিমামাটাও যেন কেমন, আমরা ছাড়া পৃথিবীর কে তাকে এমন সুন্দর করে মামা ডেকেছে...তবু আমাদের উপরই তার চরম আদর দেখানো চাই...সেও বুঝে গেছে বাঙ্গালী হল সহ্য ক্ষমতার আধার...তাই তাকে কিছু বলা যাচ্ছেনা...তবুও এবারের গরমটা খুবই অসহ্য ঠেকছে...নোন্তা জলের আবেশে পোশাক যেন গায়ের সাথে সংগমে লিপ্ত হতে চাচ্ছে...অথচ পছন্দ হচ্ছনা...পোশাক ছাড়া চলে না...আবার তার চুড়ান্ত মাখামাখিও ফাঁস লাগার মত মনে হয়...নিজ শরীর নিজ মনেই ঘিন ঘিন ঠাওরায়...সারা গা চিটচিট করে আর খিটমিট মেজাজ মুখে আনে অযথাই খিস্তি...তারপরও যখন লু হাওয়ায় ভর করে একটা স্বস্তি এসে শীতল পরশ দিয়ে যায় মাঝে মাঝে তখন সেই মাঝামাঝি সময়টাকে স্বর্গীয় মনে হয়...। এরপর সময়ের সাথে আমাদের আশা বেড়ে চলে একটু স্বর্গীয় জলের জন্য আমারা বলতে মানুষ আর প্রকৃতি সবাই বিশেষ করে বলতে হয় ঢাকার বৃক্ষসমাজের কথা...।গেল বর্ষার পর তারা এখন স্নান করতে পারেনি...পাতাগুলিতে ক্রমশই নির্জীবতা ভর করে উপরন্তু কল গাড়ির কালো ধোঁয়া তাদের সৌন্দর্যের উপর কালিমা লেপনে সদাই সিদ্ধহস্ত...এমনি যখন অবস্থা তখন হঠাত ঈশাণ কোনে হাল্কা জমাট বাষ্প দিনের আলোকে ম্লান করে দেয় যেন সহসাই সন্ধ্যা নামবে আর সেই সাথে থেমে থেমে চলে অদ্ভুত শীতল হাওয়া...রাস্তায় পরে থাকা কাগজ আর পলিব্যাগের মধ্যে ঘূর্ণন শক্তি জমা হয়, তারা যেন ঘুরে ঘুরে মাটি ফেলে আসমানের দিকে উঠতে চায়... প্রাচীন জটাধারী বৃক্ষ তার ভারী দেহ কে মাইকেল জ্যাক্সনের আদলে একটু দোলায় আর শীর্ণকায় বৃক্ষদের চলে ধ্রুপদী নৃত্যের কসরত ওদিকে যেন জলের আশায় বেড়ে যায় রিকশার ক্রিং ক্রিং...মোটর গাড়ির হর্ণ...যাপিত জীবনের আচমকা গতি বেড়ে যায়...অলি গলি তে ভর করে ঐশ্বরিক প্রান...তার টানেই বের হয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা...তাদের কেন জানি আজ কোন শাসন মানতে ইচ্ছে করে না ...প্রকৃতির এই অন্তস্বত্তায় জনমনে জন্মায় চঞ্চলতা...প্রকৃতি, প্রান আর মানুষ এটাই যে সৃষ্টির নিগূঢ় তত্ত্ব তা যেন আবার বোধগম্য হয় ...বুঝতে পারি এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে আদিম ও চরম সম্পর্ক...

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আজ জলের দেখা মিলে না...হাল্কা মেঘ উড়ে চলে যায়...বড় অস্থির কিনা...আর সেই সাথে সুয্যিমামার দাতঁগুলি বের হয়ে পড়ে কিন্তু আগের থেকে কোমল হয়ে ...একটা সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়ে...দৃশ্যমান সকল বস্তুকে কাচাঁ সোনা মনে হয়...মনে হয় বৈজ্ঞানিকরা এই আলো দেখেই সোডিয়াম বাতি তৈরির কথা ভেবেছিলো.....। আজ় বৃষ্টি হলনা...কিন্তু আশা থেকে গেল সময় আর বেশি নেই...বৃষ্টি আসছে।।


(চলবে)

বসন্ত এখনো আসে নাই তবু ভালবাসা এসে যায়...

সূর্যউদয়ে সকালের শুরু এই কথাটা সার্বজনীন কি...? নিজেকে দিয়েই তো প্রমাণ দিতে পারি...যদি চোখই না খুললাম তাহলে কি সকাল...আর কি বিকাল...সবইতো অন্ধকার...তাহলে মোটামুটি ভাবে এই কথা বলা যেতে পারে যে ...কোন ব্যক্তি যখন তার রাত্তিকালীন তন্দ্রা ছেড়ে মুখে আগুন নিয়ে টয়লেটের কমোট দর্শনপূর্বক...দন্তে কেমিক্যাল মেখে ডলাডলি সেরে চোখ মুখে পানির ঝাপ্টা দিবে তার সকালের শুরু তখন...এই গল্পের চরিত্রগুলোর সকালও ঠিক এইভাবে শুরু হয়...তখন এই প্রাচ্যে অনেকে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকাল উপভোগ করে...

গল্পে যার কথা বলতে চাচ্ছি...অনেক প্রাত্যাহিক আবশ্যকীয় কর্ম ডিঙ্গিয়ে তার সকাল শুরু হয় ঘর মধ্যস্থিত ব্যক্তিগত কম্পিউটার চালু করে...ছোট ছোট, ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে সে প্রবেশ করে এযুগের বিস্ময় রাজ্য ইন্টারনেটে...টেকনোলজী ম্যান টেকনোলজী...ইতিহাসের পৃথিবী আজ ছোট হতে হতে হাতেরকব্জির ভেতর তর্জনী আর মধ্যমার চাপে চাপে নৃত্য করে...

কিন্তু আমি যার কথা বলছি তার পায়ের তলায়ও যদি পৃথিবী চলে আসে তাতেও তার কিছু যায় আসে না...দুনিয়ার সে থোরাই care করে (i dont care type)...তথ্য-প্রযুক্তিতো অনেক পরের ব্যাপার...সে শুধু জানে তাকে ফেসবুক নামে এক সামাজিক যোগাযোগ (কি যে যোগাযোগ করতেছে....তা খালি ভগবানই জানে)মাধ্যম সাইটে লগ ইন করতে হবে...তারপর তার এক বন্ধুর পেইজ এ যেতে হবে...তার ফটোগ্রাফ দেখতে হবে...তার লিখা পড়তে হবে...তার ভাষ্যমতে যা কি না সে সহস্রবার পড়েছে...তবুও এই কাজটা তাকে প্রতিদিন করতেই হবে...যদিও লিখাগুলো সে সবসময় বুঝতে পারে কিনা জানা থাকে না......।।

ঘটনা যদি এই পর্যন্ত হয় ...তাহলে তা নিয়ে গপ্পো করার কি দরকার...এমনটা হতেই পারে আর হচ্ছেও...তাই না...?

কিন্তু ঘটনা চলতে থাকে যখন এমনি তার এক সকালে সে আবিষ্কার করে যে তার প্রিয় বন্ধুটি আর তার সাথে নেই...তার ছোট চোখ বড় হয়ে পরে...কুঞ্চিত হয় ব্রুযুগল...
সে হন্যে হয়ে বন্ধুটিকে খুঁজে যায়...বন্ধুটির লিখা খুঁজে যায়...কিন্তু মেলেনা...সব যেন হাওয়া ...কি হতে পারে...? নিশ্চয়ই বন্ধুটি তাকে বন্ধুনামা হতে সরিয়ে ফেলেছে...তাও একদম বিনা নোটিশে...আর তখনই ফেসবুক যেন বিবমিষার অন্য নাম হয়ে ধরা দেয়..

এ পর্যন্ত যদি ঘটনা হবে তাহলেও কি এই লিখাটার দরাকার আছে...? আর এমনটা তো হতেই পারে যখন পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে...তাই নয় কি...?

তথাপি ঘটনা থামেনা...কোন এক অদৃশ্য আঘাতে তার মস্তিষ্কের কম্পন বাড়তে বাড়তে রিক্টার স্কেলের সব সীমানা অতিক্রম করে ফেলে...তার চোখ বেয়ে নায়াগ্রা ফলস্‌ ঢেউ তোলে ...নাক বন্ধ হয়ে আসে...নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়...জ্বিহবায় ক্রমান্বয়ে নোনতা স্বাদ নামে...কিন্তু কোন শব্দ হয় না......শুধু শূণ্যতা ভর করে বিশ্বালয়ে...।।

খুব বড় আঘাত ছিলো কি...?

হতে পারে...যে পায় সেই শুধু জানে...

তারপর...

তারপর কি ...সকাল সকাল প্রভূত দহনে বিক্ষিপ্ত এই মেয়েটিকে তার মা জিজ্ঞেস করে "কাদঁছো কেন এতো...আমি কি কিছু বলেছি...?"

আচ্ছা, তাহলে সে একটা মেয়ে ছিলো...?

আরে গাধাঁ...মেয়ে না হলে কি সকাল সকাল কাদঁতে নেমে যায়...একমাত্র তাদেরেই কান্নার জন্য কোন টাইম_টেবল লাগে না...ATM কার্ডের মত এটা কে বলা যেতে পারে ATC ... any time crying ....mechine....

তারপর জবাবে মেয়েটিকে কি বললো??

কি বলবে, কেউতো তাকে কিছু বলেনি...আর বলেনি বলেইতো অদৃশ্য আঘাতে পরাভূত সে...।।

তারপর...

তারপরের জন্য আবার ইতিহাসে যেতে হবে...যে বন্ধুটিকে সে ভাবতে চাইছে...সেই বন্ধুটিই তখন ভাবতে বসে যায়...

সেই ফাজিলটা আবার কি ভাবে...?

ভাবে এক রাজকন্যার কথা ...তার আরাম আয়েসের কথা...তার বিগত যৌবনের কথা...

আবারও রাজকন্যা...তাও আবার বিগতযৌবনা...!

কথা কম বলে শুনে যা...যা বলছিলাম...তার বিগত দিনের কথা...যাতে মিশে আছে কত রাজপুত্তের কথা...ভাবে কত সুন্দর সময় রংতুলির আচঁড়ে নেচেছিলো...ভাবে রাজকন্যার আজকের কথা...তার ভালবাসার কথা(ওরে কত ভালবাসা বাসারে)...যা কিনা এইবার সে এক কাঙ্গালকে দিতে চায়...

কেন...? রাজপুত্তেরা কি সব দাগা দিয়ে চলে গেছে...?

কেউ গেছে...কিন্তু অনেকেইতো আছে...শত হলেও রাজকন্যা...আশেপাশে রাজপুত্তের কি অভাব হয়...?

কিন্তু সেই কাঙ্গাল কি ভাবে??

কথায় আছে না অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়...আর সেই কাঙ্গাল যেদিকে চায় পানি শুকানোর দরকার হয়না...ডাইরেক্ট বাস্পীকরণ আর ফলাফল সাহারা মরু...এমতাবস্থায় কাঙ্গালের লোভ হয়...রাজকন্যার লোভ ...আবার ভয়ও করে সেতো রাজপুত্ত হতে পারবে না...তবে কি রাজকন্যা কাঙ্গালিনী হবে...??

লোভ????

কি কমুরে ভাই...কাঙ্গালতো তাই তার ভালবাসা, লোভই হয়...এত শক্তি তার নাই... আর ভালবাসাতো ছোটখাট ব্যাপার না...এই পৃথিবীর ওজনের চেয়ে তার ওজন বেশি...এইটারে হাল্কা করে ডিজুস বানাইয়া চটাস চটাস করে চাটতেছো বলেই পৃথিবীর পশ্চাতদেশে একটা ফুটা হয়ে গেছে...যার জন্য দুনিয়া এখন ধীরে ধীরে চুপসে যাচ্ছে...একমাত্র ভালবাসাই পারে সেই ফুটা বন্ধ করতে...আরে ভাই ভালবাসাতো আর দুইজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জিনিস না...আর চাইলেও তা কেউ করতে পারবে না...প্রকৃতির কাছে যাও টের পাইবা...এইটা হইলো সুন্দর...বিউটি...আর একমাত্র এবং কেবলমাত্র beauty will save the world...এখন কাঙ্গালের কাছেতো এত বিউটি নাই...বিউটির মায় বিউটিরে পয়দা করতে করতে ক্লান্ত...যা করছিলো তাগরে আজায়গা কুজায়গায় পাঠাইয়া দিছে...যাতে দুনিয়া এখনি ধ্বংস না হয়...আর এখনতো প্রডাকশনই বন্ধ...ক্রমান্বয়ে ধর্ষনে...অনুপযোগী পরিবেশ...বিউটিতো গর্ভাবস্থায় মারা যাইতাছে...বুঝলা মিয়া সে কাঙ্গাল হইলেও খান্দানী কাঙ্গাল...ধনেরও কাঙ্গাল...মনেরও কাঙ্গাল...উপরন্তু হাড্ডিসার কঙ্কাল...আর এইজন্যই তো কাঙ্গালের রাজকন্যার দরকার...তার মন দরাকার...ওইটা আবার পরশ পাথর কিনা......।।

শুনতে কিন্ত ভালো শুনায় না...মাসুদ ভাই বলে...লোভ হচ্ছে লোভ...তা কখনোই ভালবাসা নয়..।।

তাতে কি যায় আসে...সত্য তো সত্যই...আর রাজকন্যারতো ভয়ের কিছু নেই...সে শুধু কাঙ্গাল কে চায়...আর কিছুনা...আর কাঙ্গাল চায় তার লাবণ্য ও বিভুতি শুষে নিয়ে নিজের জড়াগ্রস্থ শিকড়ে ফোটাতে বিসন্নতার অমলীন ফুল...না না...বিসন্নতা বাদ ভালবাসার অমলীন পুস্প এখানে ঠিক থাকে...

রাখো তোমার কাঙ্গালপনা...ঘটনা বল...সেই যে মেয়েটা কাদঁছিলো...তারপর

তারপর সেই কান্না ...রীতিমত দেশে বন্যা নিয়ে আসছিলো আর কি...কিন্তু সেই মুহূর্তেই মেয়েটি তার সেই বন্ধুটির খোজঁ পায়...আর এত ঘটনার শাস্তি স্বরুপ সেই বন্ধুটিকেও এযুগের আরেক বৈপ্লবিক
বিস্ময় মুঠোফোনে মিনিটের পর মিনিট কথা বলতে হয়...তার বন্ধুনামায় আবার যোগ করতে হয়...ভাগ্যিস সব ঠিকঠাক হয়েছিলো...নয়তো এই দুর্যগের দেশে এই অকাল বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি ছিলো কই......??

হুম...মধুর শাস্তি...তা কি কথা হলো..।।

হুম...সব কথা শুনতে নেই, তাই অনেক কথা বলতেও নেই...অনেক গোপনীয়তাও সুন্দর......।।

বুঝলাম...তারপর...

তার আর পর নেই...নেই কোন ঠিকানা...যা কিছু গিয়েছে চলে যাক চলে যাক না......

ওহ্‌হো...বলতে ভুলেই গিয়েছি মেয়েটির সেই বন্ধুটি কিন্তু তার চুম্বকীয় টানে...ছোট অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে হেটে চলছে...ভালবাসার পথে...সুন্দরের দিকে...
আর আমরাও বলি সুন্দরের পূজারীরা জেগে উঠুক ...বাকি সব হাওয়ায় ভাসুক...নাটাই ঘুরুক
শুধু ভালবাসার হাতে ................................................................।।

Sunday, March 22, 2009

এক আকাশের নিচে থাকি

আমার আকাশে বৃষ্টির ছায়াতলে তুমি আসবে কিনা
পঙ্কিল দৃশ্যপট তখনো সে ভাবনা যোগায়নি
তবু আমার ভাবনার সরল দোলক
কখন যেন সরলতার গন্ডিসীমা পেরিয়ে
তোমার গরল সীমানায় চলে গেল-যেন ঘটনাটা
ঠিক ছুঁতে পারলাম না
বিজ্ঞানের তত্ত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
আমার দোলক যেন তোমার প্রান্তে আটকে গেল-সাম্যাবস্থাও
আসতে চায়না।। আমার ভাবনাগুলোর অংকুরোদ্গমে
যে বৃত্ত তৈরী হয়, তার জ্যামিতিক কম্পাসের ভুমিতে সূচালো
তোমার চুলের অগ্রভাগ আর মাথায় ভর করে তোমার চোখ
বৃত্তের সুষম সৃষ্টিতে তার কড়া নজর-খুব বাজে কথা
তুমি যখন শিখা হয়ে জ্বলো আমি সর্বদাই তার ছায়ার বৃত্তে
অবস্থান করি।। কি করা যায়? উত্তর নাই
এখন উত্তর খুঁজিও না
যতবার পালতে চেয়েছি কিছুই হয়নি-এটা পরিক্ষীত
কালো পিচে উত্তপ্ত পায়ের গোড়ালি চলছিলো এলোপাথাড়ি
তবুও আমার দোলক তোমার প্রান্তেই থেকে যায়
যা কিনা তুমি চেয়ে নাওনি আবার তোমাকে
ঘটা করে দেওয়াও হয়নি-তাই তোমারও হয়তো
কিছু করার থাকেনা কারন পৃথিবীর এই দিকটায়
সূর্য এখনো পুবেই উঠে- সুয্যিজলে চক্ষুস্নান শেষে
অমাবশ্যায় যাপিত জীবন দৃঢ়চিত্তে বলেনা
আলোর প্রতীক্ষায় আছি কিন্তু অস্বীকারও করে না।।
এ যেন কানামাছি খেলা কেউ কাউকে ধরতে পারে না
সুযোগ যে আসে না তা নয় পাকড়ালেইতো সে হবে
নতুন চোর- খেলাতো শেষ হবে না
তার চেয়ে আমিই বরং হাতড়ে খুঁজি
চোখ বাধাঁ রেখে আলোকে-তাতেও কি কম আনন্দ
ঐ আলোর চোখ বেয়ে বৃষ্টি পড়েছিলো
তা আমি ছাড়া দূরের আর কয়জন জানে
তোমার গ্রহনকালে আমিতো অন্ধকার শুষে নেবার চেষ্টা করেছি
যখন তার অধিকার তুমি আমাকে দেওনি
তবু অনধিকারচর্চাও যে করিনি তাতো তুমি জানো।।
শুকনো পাতার মর্মর শব্দ হৃদয় ভাঙ্গার স্তবতায়
রূপায়িত হলে খবরের ভাষ্য আসে সবই দূর্ঘটনা
আমি তুমি আলো অন্ধকার সবকিছু
তাই এখন বসে থাকি শুয়ে থাকি শুধু দাড়াঁতে চাইনা
মহাকাল কালে কালে জন্ম দেবে আলো অন্ধকার শতদল
হয়তো নতুন কোন দূর্ঘটনায় তুমি জেনে যাবে
আমার মনের তল
আমার এখানে এখনো বৃষ্টি পড়ছে-তোমার কি খবর?
আকাশতো একটাই এ কথাতো মানো
ছায়া দেখে ভেবেছিলাম আলোর খুব কাছাকাছি চলে এসেছি
হয়তো সত্যি তাই তবু যোজন যোজন দূর-ছিলো বাকি
সাত সমুদ্দর তেরো নদী...।।


পুনে
২৮১১২০০৮

হ্যাং

পান থেকে চুনও খসাইনি
তবু আমি কচু পাতায় জল
মেয়ে তুমিতো কম্পিউটার নও
তবে কেন বারে বারে হ্যাং করো
তাহলে যে আমিও ঝুলে যাই...।।

Friday, March 20, 2009

ওয়েটিংরুম...

একটা ট্রেন আসার কথা ছিলো...এই বাজারে অনেক কথাই থাকে...এবং কিছু কথা থেকেই যায়...সুবিরনন্দীর গানও তাই বলে
তাই যখন দিন যায় তখন আমি ট্রেন আসার অপেক্ষা করি..

অপেক্ষাতো অপেক্ষাই...মধুমাখা রস নয় অনন্তকাল পর্যন্ত যার ভ্যালেডিটি...কিন্তু তাই বলে খা খা আকাশের নিচে অনন্তকাল...!
তার চেয়ে একটা প্লাটফর্ম বানিয়ে নিলাম...তার বুকে বসালাম একটা ওয়েটিং রুম...তার ভিতর আমি...কান পেতে রই...শব্দ খুঁজি...কারন একটা ট্রেন আসার কথা ছিল...

কোন ট্রেন ? কার ট্রেন ? আসবে আমার প্লাটফর্মে? এক্সপ্রেস নাকি লোকাল? গভর্মেন্ট নাকি প্রাইভেট? কি আসবে ট্রেনে? মাল বোঝাই নাকি মন বোঝাই...? আমিতো আগেই জানিয়ে দিয়েছি যে ট্রেন একবার আমার প্লাটফর্মে আসবে তার ইঞ্জিন আমি উড়িয়ে দেবো...যাতে আর চলতে না পারে...আমাতেই হবে তার শেষ গন্তব্য...এই ভয়ে কি তবে ট্রেন আসবে না...!

আমি কি কিছুই জানি না...নাকি ভুলভাল জেনে ওয়েটিং রুম বানিয়ে বসে আছি...ভাবছি এই বুঝি ট্রেন এসে পরলো...আমার সকাল বিকাল...রাত নিলো ওয়েটিংরুম...আমি জেনো সময়ের বস্তা মাথায় করে বসে আছি...আর সময় আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে আর বলছে মজা লও মিয়া...মজা খুজলেই নাকি মজা পাওয়া যায়......কিন্ত আর কত মজা লওয়া যায়...?

বোধহয় ট্রেন আসবে না...এত লেটতো হবার কথা না...তাহলে কি চলে গেল...? হয়তো তাই হবে...ট্রেনটা আমার স্টেশনে আসেই নি...কারণ......?

কারণ অনেক কিছুই হতে পারে...বোধহয় অন্য স্টেশনে থেমে গেছে যেখানে ইঞ্জিন উড়ানোর ভয় ছিলো না ...কিংবা পথে কোন বগি উলটে গেছে আর চলতে পারবে না...অথবা একেবারেই ব্রেক ফেল করেছে...যে কোথাও থামতে পারবে না...আবার এও সম্ভব পথিমধ্যে কোন ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে...তাই অন্য পথে অনেকটা ঘুরে সে আমার দিকেই আসছে......

জীবনতো অনন্ত সম্ভাবনা...তারতো কোন মৃত্যু নেই......

তবুও আমার অনেক কিছু মনে পরে...মনে পরে সিনেমা প্যারাদিসো...মনে পরে এক হতভাগা ছেলের কথা যে কি না ভালবাসলো এক রাজকন্যা কে ...কিন্তু রাজকন্যা কি তাকে চেনে...? তবুও ছেলেটি আশাহত হয় না...মেয়েটিকে জানায়...আজ থেকে আগামী একশ দিবা-রাত্তি আমি তোমার বাড়ির সামনে বসে থাকব...এর মাঝে যদি তুমি তোমার ঘরের সদর দরজায় দাড়াঁও কিংবা সামনের এই জানালাটাই যদি খুলে দাও ...তাহলে আমি ভেবে বসবো...আমি জেনে নেবো...আমি তোমার মনের ঘরে জায়গা করে নিচ্ছি...আর যদি তোমার দেখা নাও মেলে ...তাহলেও আমার অপেক্ষা পূর্ণতা পাবে......

এরপর তুমি জানতে চাইলে তারপর...

অতঃপর শুরু হয় অপেক্ষার পালা...যেন সময়ের সাথে এক স্নায়ু যুদ্ধের অবতারনা...কে জিতে কে হারে...ছেলেটি কিন্তু অপেক্ষা করেই যায়...এক...দুই...তিন...করে দিন যায়...কিন্তু ওই যে বলেছিলামনা কথা থেকে যায়...তাই...বৃষ্টির জল...শৈত্যপ্রবাহ...আর রোদের অনলও তার মনে দাবানল জ্বালাতে পারে না...সে শান্ত...সৌম্য...ধ্যান মগ্ন এক রাজপুত্র...অপেক্ষায় অপেক্ষায় আটান্নব্বই দিন,আটন্নব্বই রাত...ও নিরান্নব্বই দিন কাটিয়ে দিলো...

শুনে তুমিও অধৈর্য্যপনা শুরু করলে...জানতে চাইলে এরপর কি হয়?...নিরান্নবই কেন...একশত নয় কেনো...?

সেইতো কথা...আমার এই শান্ত, ধ্যান মগ্ন এক রাজপুত্রটি এতো কষ্টের পর কেন নিরান্নব্বই রাতে পালালো...কেনো আগেই পালালো না... কিংবা কেন আরেকটু অপেক্ষা করলো না...?

তুমি বললে আজবতো...?

আমি বললাম অনেক প্রাচীন এই গল্পটি...আর তার থেকেও প্রাচীন এই প্রশ্নটি কেন...সে নিরান্নব্বই রাতে পালিয়েছিলো...?
তখন এই বলে আমি শেষ করেছিলাম...যেদিন এর উত্তর জেনে যাবে...বুঝে নিও সেদিন থেকে তুমি ভালবাসতে শিখছো...

কিন্তু আমার প্লাটফর্ম...আমার স্টেশন...আমার ওয়েটিংরুম কি সেই ক্ষণ পর্যন্ত সিগন্যাল দিবে...সবুজ বাতির সিগন্যাল.......................................।।একটা ট্রেন আসার কথা ছিলো...এই বাজারে অনেক কথাই থাকে...এবং কিছু কথা থেকেই যায়...সুবিরনন্দীর গানও তাই বলে
তাই যখন দিন যায় তখন আমি ট্রেন আসার অপেক্ষা করি..

অপেক্ষাতো অপেক্ষাই...মধুমাখা রস নয় অনন্তকাল পর্যন্ত যার ভ্যালেডিটি...কিন্তু তাই বলে খা খা আকাশের নিচে অনন্তকাল...!
তার চেয়ে একটা প্লাটফর্ম বানিয়ে নিলাম...তার বুকে বসালাম একটা ওয়েটিং রুম...তার ভিতর আমি...কান পেতে রই...শব্দ খুঁজি...কারন একটা ট্রেন আসার কথা ছিল...

কোন ট্রেন ? কার ট্রেন ? আসবে আমার প্লাটফর্মে? এক্সপ্রেস নাকি লোকাল? গভর্মেন্ট নাকি প্রাইভেট? কি আসবে ট্রেনে? মাল বোঝাই নাকি মন বোঝাই...? আমিতো আগেই জানিয়ে দিয়েছি যে ট্রেন একবার আমার প্লাটফর্মে আসবে তার ইঞ্জিন আমি উড়িয়ে দেবো...যাতে আর চলতে না পারে...আমাতেই হবে তার শেষ গন্তব্য...এই ভয়ে কি তবে ট্রেন আসবে না...!

আমি কি কিছুই জানি না...নাকি ভুলভাল জেনে ওয়েটিং রুম বানিয়ে বসে আছি...ভাবছি এই বুঝি ট্রেন এসে পরলো...আমার সকাল বিকাল...রাত নিলো ওয়েটিংরুম...আমি জেনো সময়ের বস্তা মাথায় করে বসে আছি...আর সময় আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে আর বলছে মজা লও মিয়া...মজা খুজলেই নাকি মজা পাওয়া যায়......কিন্ত আর কত মজা লওয়া যায়...?

বোধহয় ট্রেন আসবে না...এত লেটতো হবার কথা না...তাহলে কি চলে গেল...? হয়তো তাই হবে...ট্রেনটা আমার স্টেশনে আসেই নি...কারণ......?

কারণ অনেক কিছুই হতে পারে...বোধহয় অন্য স্টেশনে থেমে গেছে যেখানে ইঞ্জিন উড়ানোর ভয় ছিলো না ...কিংবা পথে কোন বগি উলটে গেছে আর চলতে পারবে না...অথবা একেবারেই ব্রেক ফেল করেছে...যে কোথাও থামতে পারবে না...আবার এও সম্ভব পথিমধ্যে কোন ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে...তাই অন্য পথে অনেকটা ঘুরে সে আমার দিকেই আসছে......

জীবনতো অনন্ত সম্ভাবনা...তারতো কোন মৃত্যু নেই......

তবুও আমার অনেক কিছু মনে পরে...মনে পরে সিনেমা প্যারাদিসো...মনে পরে এক হতভাগা ছেলের কথা যে কি না ভালবাসলো এক রাজকন্যা কে ...কিন্তু রাজকন্যা কি তাকে চেনে...? তবুও ছেলেটি আশাহত হয় না...মেয়েটিকে জানায়...আজ থেকে আগামী একশ দিবা-রাত্তি আমি তোমার বাড়ির সামনে বসে থাকব...এর মাঝে যদি তুমি তোমার ঘরের সদর দরজায় দাড়াঁও কিংবা সামনের এই জানালাটাই যদি খুলে দাও ...তাহলে আমি ভেবে বসবো...আমি জেনে নেবো...আমি তোমার মনের ঘরে জায়গা করে নিচ্ছি...আর যদি তোমার দেখা নাও মেলে ...তাহলেও আমার অপেক্ষা পূর্ণতা পাবে......

এরপর তুমি জানতে চাইলে তারপর...

অতঃপর শুরু হয় অপেক্ষার পালা...যেন সময়ের সাথে এক স্নায়ু যুদ্ধের অবতারনা...কে জিতে কে হারে...ছেলেটি কিন্তু অপেক্ষা করেই যায়...এক...দুই...তিন...করে দিন যায়...কিন্তু ওই যে বলেছিলাম না কথা থেকে যায়...তাই...বৃষ্টির জল...শৈত্যপ্রবাহ...আর রোদের অনলও তার মনে দাবানল জ্বালাতে পারে না...সে শান্ত...সৌম্য...ধ্যান মগ্ন এক রাজপুত্র...অপেক্ষায় অপেক্ষায় আটান্নব্বই দিন,আটন্নব্বই রাত...ও নিরান্নব্বই দিন কাটিয়ে দিলো...

শুনে তুমিও অধৈর্য্যপনা শুরু করলে...জানতে চাইলে এরপর কি হয়?...নিরান্নবই কেন...একশত নয় কেনো...?

সেইতো কথা...আমার এই শান্ত, ধ্যান মগ্ন এক রাজপুত্রটি এতো কষ্টের পর কেন নিরান্নব্বই রাতে পালালো...কেনো আগেই পালালো না... কিংবা কেন আরেকটু অপেক্ষা করলো না...?

তুমি বললে আজবতো...?

আমি বললাম অনেক প্রাচীন এই গল্পটি...আর তার থেকেও প্রাচীন এই প্রশ্নটি কেন...সে নিরান্নব্বই রাতে পালিয়েছিলো...?
তখন এই বলে আমি শেষ করেছিলাম...যেদিন এর উত্তর জেনে যাবে...বুঝে নিও সেদিন থেকে তুমি ভালবাসতে শিখছো...

কিন্তু আমার প্লাটফর্ম...আমার স্টেশন...আমার ওয়েটিংরুম কি সেই ক্ষণ পর্যন্ত সিগন্যাল দিবে...সবুজ বাতির সিগন্যাল.......................................।।

Wednesday, March 18, 2009

কেননা আর তুমি তাই শুষ্ক ঝরাপাতা কিংবা কোন প্রেমপত্র

আমাদের তখন ব্যস্ত সময়
সময় পেরোই সময়ের খোঁজে
তখন সমসাময়িক এক অখন্ডনীয় সত্যে
আমরা একত্র হই- যদিও
ঘটনাটা এমন হবার কথা ছিলনা কেননা
পরস্পর ভিনগ্রহের আগুন্তক আমরা
আদৌ কেউ কি আগুন্তক ছিলাম?
মহাকাল নিশ্চয়ই সে খবর রেখেছে
রহস্যের পর্দা সে খুলবে
রমন ক্রিয়ার মত ধীরে কিন্তু স্থিতিশীল
যদি রাখি অপেক্ষার প্রহর
কি ভাসাবে সময়ের নহর
বর্তমানই জীবন বাঁচায়
তুমি কি বলো?
একদা এক বাঘের গলায় হাড় ফুটলো
পারমানবিক বোমা যা কিনা মানবিকতাকে পার করে
লোভী বাঘ্রের দাঁতের নিচে আমি অসহায়
তুমি বাঘিনীর দাঁত নাকি হরিণের হাড়?
তোমার খবর তুমি জানাও
আমার খবর শুরু থেকেই ছিল হেডলাইনে
অতীতকে সত্য রাখবো তবু ভবিষ্যতকে বাচাঁতে চাই
তাই তোমার অতীত আমি ভুলি- আর তুমি
পরক্ষনেই তোমার অনামিকায়
সামনের দুর্গমতা ইংগিত কর
যেমন জানা আছে আমি আকঁড়ে ধরি
তেমনি জানা থাকে তুমি বদলাও রঙ্গে রঙ্গে
তোমার প্রতি রঙ অন্য রঙ টানে
তারা পরস্পর মিশতে চায়
তবু কে তোমায় পায়
জ়ীবনতো আর রংধনু নয়
তুমি কি তা মানো?
তোমার চোখের রঙ্গে চুলের সংগে
আমার মহাকাল যুক্ত হয়েছিল- তাই
আমরা এক পৃথিবীর বাসিন্দা হই
তবু জানা থাকুক
আমি দূরেই থাকি- এবং
তোমার বহুরুপী ব্যঞ্জনা তেমনি কাছে টানে
যারা গিয়েছে তারা জানে
তুমি আর কি এমনি স্বভাব
ছুটছে তোমার ট্রেন পাশে যন্ত্রনার নাদ
"ভালবাসাকে ভালবাসা হতে না দেওয়া
মানুষের সবচেয়ে বড় অপরাধ" ।।

আজাদ হিন্দ সুপার ফাস্ট ১৭৭২০০৮

Thursday, January 1, 2009

এক কাহন

ঘটনাটা ইতিহাসে ছিলো
অনেক প্রাচীনতায় জড়ানো মানসিক অবস্থার সবিশেষ
এবং ইতিহাস শব্দের শক্তিতে আমিও এই ঘটনার আলিঙ্গন করলাম
বুজতে বাকি ছিলনা যে তীরে পৌছেছি কিন্তু ঘাট খুঁজে পেলাম না
ইতিহাস হলে হয়তো লন্ঠনের আলো খোঁজার চেষ্টা করতাম
কিন্তু এই কালে এসে দেখি তীরের কোথায় কোন আলোক বিন্দু নেই
না লন্ঠনের না ফিলিপ্স বাতির ঝলকানি
অবশ্য কেঊ যে ঘাটে আলো জ্বালবে কিংবা জ্বালবেনা
এটা আগে থেকে অনুমান করা বড় শক্ত – কারণ
এই পটে রয়েছে ইলেকট্রিসিটির অভাব, লোডসেডিঙ্গের প্রোকপ
তাই কেউ চাইলেই সহসা আলো জ্বালানো সম্ভব ছিলো না
এই ক্ষীণ আশা নিয়ে আমি তীরেই অপেক্ষারত ছিলাম
আলো জ্বলবে, আমি ঘাট চিনবো, পাড়ে উঠবো

কিন্তু আলো আর জ্বলেনি
আমার প্রতীক্ষার দন্ডে ঘুণ পোকা জন্মে
আমার ভয় হতে শুরু করে, সকাল যে হয়ে আসছিলো
জমে যাবে হাট-বাজার এই তীরে, যেতে পারবো কি কাঙ্খিত নীড়ে ?
তখন যে আমার একটি গন্তব্য অসীমে রূপ নিবে – হায়
কেউ হয়তো সত্যি ছিলনা, আমায় বরণ করতে, এই আধাঁরে
কিংবা থেকেও অন্ধকারে আমায় চিন্তে পারেনি

অগ্যতা আমি আবার যাত্রা শুরু করলাম
নতুন কোন তীরে আশায় নয়
তীরে এসে পাড়ে না উঠবার অনুভূতি ততটা সুবিধের নয়
মহাকালের ব্যঞ্জনায়, সেটা কি আমিও বুঝিনি ?
তাই বরং চলতে থাকি, ভাসতে থাকি, নিজের নৌকায়
স্পন্দিত হোক আমার গতকাল
গতিময় পালে দোল খাক আজকের সময়
আমি আমার গত সময়েই বেচেঁ থাকবো
তুমি না হয় ভবিষ্যতেই হারালে...।।

কপিরাইট শঙ্খ’০৮

নিস্তব্ধতা

অকালের টিপ টিপ বৃষ্টির তালে তালে
সৃষ্টির ওম ধ্বনি বিস্তারের আগেই
আমাতে তোমার অভাব বিস্তৃত হলে
অসীমে নিমজ্জমান এক সুতোয় দাড়াঁয়ে
চাপা চাপা রঙে যে ইন্দ্রধনু পাখনা মেলে
তোমার আয়েসি নিস্তব্ধতায় আর বিলাসী উদাসীনতায়
ক্ষণে ক্ষণে সেই পাখনার পালক খসে পরে...।।

কপিরাইট শঙ্খ’০৮

পাউরুটি সংক্রান্ত জটিলতা

পাউরুটির কোমল অংশ ঘিরে যে লালচে কঠিন আবরন থাকে
তুমি তাকে কেটে ফেলে দাও – কারন তুমি শুধু কোমলতাটুকুই চাও
যে কিনা ঘিরে থাকতে চায়
তাকেই ছিড়েঁ - কেটে সামনে এগুতে চাও ?
তুমি জানালে,”এটাই আমি – আই ডোন্ট লাইক বাউন্ডারিস্”
আমি হাসলাম,ভাবলাম,খালি বাউন্ডারিটাই দেখলে
আর যে কি না আগুনে পুড়ে পুড়ে তোমার কোমলতা বাচাঁয়
সেটা শিখলেনা...বুজলেও না।।

কপিরাইট শংখ’০৮