Friday, April 3, 2009

বসন্ত এখনো আসে নাই তবু ভালবাসা এসে যায়...

সূর্যউদয়ে সকালের শুরু এই কথাটা সার্বজনীন কি...? নিজেকে দিয়েই তো প্রমাণ দিতে পারি...যদি চোখই না খুললাম তাহলে কি সকাল...আর কি বিকাল...সবইতো অন্ধকার...তাহলে মোটামুটি ভাবে এই কথা বলা যেতে পারে যে ...কোন ব্যক্তি যখন তার রাত্তিকালীন তন্দ্রা ছেড়ে মুখে আগুন নিয়ে টয়লেটের কমোট দর্শনপূর্বক...দন্তে কেমিক্যাল মেখে ডলাডলি সেরে চোখ মুখে পানির ঝাপ্টা দিবে তার সকালের শুরু তখন...এই গল্পের চরিত্রগুলোর সকালও ঠিক এইভাবে শুরু হয়...তখন এই প্রাচ্যে অনেকে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকাল উপভোগ করে...

গল্পে যার কথা বলতে চাচ্ছি...অনেক প্রাত্যাহিক আবশ্যকীয় কর্ম ডিঙ্গিয়ে তার সকাল শুরু হয় ঘর মধ্যস্থিত ব্যক্তিগত কম্পিউটার চালু করে...ছোট ছোট, ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে সে প্রবেশ করে এযুগের বিস্ময় রাজ্য ইন্টারনেটে...টেকনোলজী ম্যান টেকনোলজী...ইতিহাসের পৃথিবী আজ ছোট হতে হতে হাতেরকব্জির ভেতর তর্জনী আর মধ্যমার চাপে চাপে নৃত্য করে...

কিন্তু আমি যার কথা বলছি তার পায়ের তলায়ও যদি পৃথিবী চলে আসে তাতেও তার কিছু যায় আসে না...দুনিয়ার সে থোরাই care করে (i dont care type)...তথ্য-প্রযুক্তিতো অনেক পরের ব্যাপার...সে শুধু জানে তাকে ফেসবুক নামে এক সামাজিক যোগাযোগ (কি যে যোগাযোগ করতেছে....তা খালি ভগবানই জানে)মাধ্যম সাইটে লগ ইন করতে হবে...তারপর তার এক বন্ধুর পেইজ এ যেতে হবে...তার ফটোগ্রাফ দেখতে হবে...তার লিখা পড়তে হবে...তার ভাষ্যমতে যা কি না সে সহস্রবার পড়েছে...তবুও এই কাজটা তাকে প্রতিদিন করতেই হবে...যদিও লিখাগুলো সে সবসময় বুঝতে পারে কিনা জানা থাকে না......।।

ঘটনা যদি এই পর্যন্ত হয় ...তাহলে তা নিয়ে গপ্পো করার কি দরকার...এমনটা হতেই পারে আর হচ্ছেও...তাই না...?

কিন্তু ঘটনা চলতে থাকে যখন এমনি তার এক সকালে সে আবিষ্কার করে যে তার প্রিয় বন্ধুটি আর তার সাথে নেই...তার ছোট চোখ বড় হয়ে পরে...কুঞ্চিত হয় ব্রুযুগল...
সে হন্যে হয়ে বন্ধুটিকে খুঁজে যায়...বন্ধুটির লিখা খুঁজে যায়...কিন্তু মেলেনা...সব যেন হাওয়া ...কি হতে পারে...? নিশ্চয়ই বন্ধুটি তাকে বন্ধুনামা হতে সরিয়ে ফেলেছে...তাও একদম বিনা নোটিশে...আর তখনই ফেসবুক যেন বিবমিষার অন্য নাম হয়ে ধরা দেয়..

এ পর্যন্ত যদি ঘটনা হবে তাহলেও কি এই লিখাটার দরাকার আছে...? আর এমনটা তো হতেই পারে যখন পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে...তাই নয় কি...?

তথাপি ঘটনা থামেনা...কোন এক অদৃশ্য আঘাতে তার মস্তিষ্কের কম্পন বাড়তে বাড়তে রিক্টার স্কেলের সব সীমানা অতিক্রম করে ফেলে...তার চোখ বেয়ে নায়াগ্রা ফলস্‌ ঢেউ তোলে ...নাক বন্ধ হয়ে আসে...নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়...জ্বিহবায় ক্রমান্বয়ে নোনতা স্বাদ নামে...কিন্তু কোন শব্দ হয় না......শুধু শূণ্যতা ভর করে বিশ্বালয়ে...।।

খুব বড় আঘাত ছিলো কি...?

হতে পারে...যে পায় সেই শুধু জানে...

তারপর...

তারপর কি ...সকাল সকাল প্রভূত দহনে বিক্ষিপ্ত এই মেয়েটিকে তার মা জিজ্ঞেস করে "কাদঁছো কেন এতো...আমি কি কিছু বলেছি...?"

আচ্ছা, তাহলে সে একটা মেয়ে ছিলো...?

আরে গাধাঁ...মেয়ে না হলে কি সকাল সকাল কাদঁতে নেমে যায়...একমাত্র তাদেরেই কান্নার জন্য কোন টাইম_টেবল লাগে না...ATM কার্ডের মত এটা কে বলা যেতে পারে ATC ... any time crying ....mechine....

তারপর জবাবে মেয়েটিকে কি বললো??

কি বলবে, কেউতো তাকে কিছু বলেনি...আর বলেনি বলেইতো অদৃশ্য আঘাতে পরাভূত সে...।।

তারপর...

তারপরের জন্য আবার ইতিহাসে যেতে হবে...যে বন্ধুটিকে সে ভাবতে চাইছে...সেই বন্ধুটিই তখন ভাবতে বসে যায়...

সেই ফাজিলটা আবার কি ভাবে...?

ভাবে এক রাজকন্যার কথা ...তার আরাম আয়েসের কথা...তার বিগত যৌবনের কথা...

আবারও রাজকন্যা...তাও আবার বিগতযৌবনা...!

কথা কম বলে শুনে যা...যা বলছিলাম...তার বিগত দিনের কথা...যাতে মিশে আছে কত রাজপুত্তের কথা...ভাবে কত সুন্দর সময় রংতুলির আচঁড়ে নেচেছিলো...ভাবে রাজকন্যার আজকের কথা...তার ভালবাসার কথা(ওরে কত ভালবাসা বাসারে)...যা কিনা এইবার সে এক কাঙ্গালকে দিতে চায়...

কেন...? রাজপুত্তেরা কি সব দাগা দিয়ে চলে গেছে...?

কেউ গেছে...কিন্তু অনেকেইতো আছে...শত হলেও রাজকন্যা...আশেপাশে রাজপুত্তের কি অভাব হয়...?

কিন্তু সেই কাঙ্গাল কি ভাবে??

কথায় আছে না অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়...আর সেই কাঙ্গাল যেদিকে চায় পানি শুকানোর দরকার হয়না...ডাইরেক্ট বাস্পীকরণ আর ফলাফল সাহারা মরু...এমতাবস্থায় কাঙ্গালের লোভ হয়...রাজকন্যার লোভ ...আবার ভয়ও করে সেতো রাজপুত্ত হতে পারবে না...তবে কি রাজকন্যা কাঙ্গালিনী হবে...??

লোভ????

কি কমুরে ভাই...কাঙ্গালতো তাই তার ভালবাসা, লোভই হয়...এত শক্তি তার নাই... আর ভালবাসাতো ছোটখাট ব্যাপার না...এই পৃথিবীর ওজনের চেয়ে তার ওজন বেশি...এইটারে হাল্কা করে ডিজুস বানাইয়া চটাস চটাস করে চাটতেছো বলেই পৃথিবীর পশ্চাতদেশে একটা ফুটা হয়ে গেছে...যার জন্য দুনিয়া এখন ধীরে ধীরে চুপসে যাচ্ছে...একমাত্র ভালবাসাই পারে সেই ফুটা বন্ধ করতে...আরে ভাই ভালবাসাতো আর দুইজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জিনিস না...আর চাইলেও তা কেউ করতে পারবে না...প্রকৃতির কাছে যাও টের পাইবা...এইটা হইলো সুন্দর...বিউটি...আর একমাত্র এবং কেবলমাত্র beauty will save the world...এখন কাঙ্গালের কাছেতো এত বিউটি নাই...বিউটির মায় বিউটিরে পয়দা করতে করতে ক্লান্ত...যা করছিলো তাগরে আজায়গা কুজায়গায় পাঠাইয়া দিছে...যাতে দুনিয়া এখনি ধ্বংস না হয়...আর এখনতো প্রডাকশনই বন্ধ...ক্রমান্বয়ে ধর্ষনে...অনুপযোগী পরিবেশ...বিউটিতো গর্ভাবস্থায় মারা যাইতাছে...বুঝলা মিয়া সে কাঙ্গাল হইলেও খান্দানী কাঙ্গাল...ধনেরও কাঙ্গাল...মনেরও কাঙ্গাল...উপরন্তু হাড্ডিসার কঙ্কাল...আর এইজন্যই তো কাঙ্গালের রাজকন্যার দরকার...তার মন দরাকার...ওইটা আবার পরশ পাথর কিনা......।।

শুনতে কিন্ত ভালো শুনায় না...মাসুদ ভাই বলে...লোভ হচ্ছে লোভ...তা কখনোই ভালবাসা নয়..।।

তাতে কি যায় আসে...সত্য তো সত্যই...আর রাজকন্যারতো ভয়ের কিছু নেই...সে শুধু কাঙ্গাল কে চায়...আর কিছুনা...আর কাঙ্গাল চায় তার লাবণ্য ও বিভুতি শুষে নিয়ে নিজের জড়াগ্রস্থ শিকড়ে ফোটাতে বিসন্নতার অমলীন ফুল...না না...বিসন্নতা বাদ ভালবাসার অমলীন পুস্প এখানে ঠিক থাকে...

রাখো তোমার কাঙ্গালপনা...ঘটনা বল...সেই যে মেয়েটা কাদঁছিলো...তারপর

তারপর সেই কান্না ...রীতিমত দেশে বন্যা নিয়ে আসছিলো আর কি...কিন্তু সেই মুহূর্তেই মেয়েটি তার সেই বন্ধুটির খোজঁ পায়...আর এত ঘটনার শাস্তি স্বরুপ সেই বন্ধুটিকেও এযুগের আরেক বৈপ্লবিক
বিস্ময় মুঠোফোনে মিনিটের পর মিনিট কথা বলতে হয়...তার বন্ধুনামায় আবার যোগ করতে হয়...ভাগ্যিস সব ঠিকঠাক হয়েছিলো...নয়তো এই দুর্যগের দেশে এই অকাল বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি ছিলো কই......??

হুম...মধুর শাস্তি...তা কি কথা হলো..।।

হুম...সব কথা শুনতে নেই, তাই অনেক কথা বলতেও নেই...অনেক গোপনীয়তাও সুন্দর......।।

বুঝলাম...তারপর...

তার আর পর নেই...নেই কোন ঠিকানা...যা কিছু গিয়েছে চলে যাক চলে যাক না......

ওহ্‌হো...বলতে ভুলেই গিয়েছি মেয়েটির সেই বন্ধুটি কিন্তু তার চুম্বকীয় টানে...ছোট অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে হেটে চলছে...ভালবাসার পথে...সুন্দরের দিকে...
আর আমরাও বলি সুন্দরের পূজারীরা জেগে উঠুক ...বাকি সব হাওয়ায় ভাসুক...নাটাই ঘুরুক
শুধু ভালবাসার হাতে ................................................................।।

1 comment:

krishnochura said...

tomar lekhar style ta valo legeche.